চট্টগ্রামে সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইস্কন কর্তৃক যৌথবাহিনীর উপর হামলা এবং বেশ কয়েকজন সেনা ও পুলিশ সদস্যকে আহতের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ইসকনের উগ্রবাদী কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মাসিক সভায় খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত।
তারা বলেন, এরই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ ও যৌথবাহিনীর উপর হামলার ঘটনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের অংশ।
নেতারা বলেন, সেনা-পুলিশ সদস্যদের উপর এসিড দিয়ে হামলা চরম ঔদ্ধত্যের শামিল। এর আগে চট্টগামে স্বাধীনতা স্তম্ভে স্থাপিত জাতীয় পতাকার উপর ইসকনের গেরুয়া পতাকা টাঙিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। ইসকনের এহেন কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। এই সংগঠন এদেশের সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা বিদেশী এজেন্ট হিসেবে নানামুখী অপকর্মে লিপ্ত। তাই উগ্রবাদী ইসকনের অঢেল অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং অবিলম্বে তাদের উগ্রবাদী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন. সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় নির্বাহী সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব-এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আলহাজ্ব আবু সালেহীন, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন।
এছাড়াও খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফয়জুল ইসলাম, এডভোকেট শাইখুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, আলহাজ্ব আমিনুর রহমান ফিরোজ, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, হাজী নূর হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ আজীজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।